রুপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেম্বার প্রার্থী দুই গ্রুপের মধ্যে দুই দফায় তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সন্ধার পরে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডর নাওড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বর্তমান মেম্বার মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া (মোরগ প্রতিক) সমর্থকদের সাথে মেম্বার প্রার্থী জসীম উদ্দিন সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,
ইট পাটকেল নিক্ষেপ, হাতাহাতি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে দুলাল নামে এক জসিমউিদ্দন সমর্থকের মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। তাকে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় আরও ৩ জন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। এদিকে খবর পেয়ে রুপগঞ্জের চনপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মোশারফ সমর্থক লোকজন নাওড়ায় গিয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় জসিমউদ্দন সমর্থকদের ওপর
। এ সময় জসিমউদ্দন সমর্করা প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করলে মোশারফ সমর্থকরা পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের সঠিক খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় থমথমে এ পরিস্থিতে এলাকাবাসী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের নিয়ন্ত্রনে চলে এ এলাকা।
১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী জসীমউদ্দন তারই লোক। আর এ ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোশারফ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গাজীর লোক। তারা উভয়েই আওয়ামী লীগ সমর্থক। নির্বাচন শেষ হওয়ার আগেই তারা আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারামারি শুরু করেছেন। এখন এলাকায় খুনাখুনির পরিস্থিতি হয়েছে আর কি। এ বিষয়ে রুপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন,
প্রতীক বরাদ্ধের পর এলাকায় ফিড়ে এসে হঠাৎ মেম্বার প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও জসীমউদ্দনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। ঘটনাস্থলে র্যাব অবস্থান নিয়েছে। এ বিষয়ে রুপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ, সার্কেল এএসপিসহ প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত রয়েছেন। আর এ বিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।